করোনা বিধিনিষেধ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে কন্টেনমেন্ট জোন এবং মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মোট ৪১টি এলাকাকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করেছে। বিধাননগরে ২১টি অঞ্চল রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ওই সমস্ত এলাকায় ব্যারিকেড করে দেয় বিধাননগর পুলিশ।
এমন পরিস্থিতিতে ২২ জানুয়ারি বিধাননগর পুরসভার ভোট। যেভাবে করোনার তৃতীয় ঢেউ এসেছে তাতে কি আদৌ ভোট দেওয়া সম্ভব বলে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে শুধু বিধাননগর কেন, যে কোনও পুরসভার ভোট হবে না। এতে আরও বড় বিপদ হতে পারে।
স্বাস্থ্য তথ্য অনুসারে, উত্তর ২৪ পরগণায় করোনভাইরাস সংক্রামিতের সংখ্যা নববর্ষের আগের দিন থেকে ক্রমশ বাড়ছে। ৩১ ডিসেম্বর জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৬ জন। নববর্ষের প্রাক্কালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮৮। অর্থাৎ মাত্র ২৪ ঘন্টায় প্রায় ২০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই জেলায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ২ জানুয়ারি, উত্তর ২৪ পরগনায় ৯৯৪ জন আক্রান্ত হয়েছিল। পরের দিন ৩ জানুয়ারি আক্রান্ত হন ১ হাজার ৫৭ জন।
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ৪১টি কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে ২১টি বিধাননগর পুর এলাকায়। বিধাননগরেও প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিধাননগর এসডিও অফিসে ভিড় দেখে হতবাক বিধাননগর প্রশাসন ও স্থানীয় চিকিৎসকরা। তবে রাজনৈতিক দলগুলো খুব একটা দ্বিধা দেখায়নি।
No comments:
Post a Comment