পাকিস্তানে সুপ্রিম কোর্টে একজন নারী বিচারপতি নিয়োগ বন্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। বিচারপতি আয়েশা মালিকের নিয়োগের প্রতিবাদে বার কাউন্সিল নেমেছে। এমনকি আদালতের কার্যক্রম বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্তানের (জেসিপি) বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও এই বৈঠক বাতিলের দাবিতে অনড় রয়েছে বার কাউন্সিল।
সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি হবেন
পাকিস্তান বার কাউন্সিল (পিবিসি) হুমকি দিয়েছে, বিচারপতি আয়েশা মালিককে সুপ্রিম কোর্টে পদোন্নতি দিলে দেশের সব আদালত বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিচারপতি আয়েশার নিয়োগের বিরোধিতাকারীরা বলছেন, জ্যেষ্ঠতা উপেক্ষা করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হচ্ছে। তবে কেউ কেউ এটাও বলছেন, হাইকোর্টে ঠিক আছে, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে কোনও নারী বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া উচিৎ নয়। বিচারপতি আয়েশার নিয়োগ অনুমোদন হলে পাকিস্তানের ইতিহাসে তিনিই হবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি।
গত বৈঠকেও প্রতিবাদ হয়েছিল।
বিচারপতি আয়েশাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী ৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের জুডিশিয়াল কমিশনের (জেসিপি) বৈঠকে। গত বৈঠকে এই নিয়োগের পক্ষে ছিলেন চারজন, বিপক্ষে ছিলেন চারজন। প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ বিচারপতি আয়েশাকে দুইবার সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু তিনি বিরোধিতার সম্মুখীন হন। বিরোধীরা বলছেন, বিচারপতি গুলজার অবসরে যাচ্ছেন, তাই নতুন প্রধান বিচারপতিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ কারণ জানান বার কাউন্সিল
একইসঙ্গে পাকিস্তান বার কাউন্সিল স্পষ্ট করে কিছু বলতে রাজি নয়। তবে তিনি নিশ্চিতভাবেই বলেছেন যে বিচারপতি আয়েশা জ্যেষ্ঠতায় চার নম্বরে আছেন, তাই তাকে প্রথমে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো ভুল। বার কাউন্সিল বলেছে, বিচারপতি আয়েশার নিয়োগ অনুমোদন হলে আদালত বন্ধ হয়ে যাবে। বিচারপতি আয়েশা বর্তমানে লাহোর হাইকোর্টে পদে রয়েছেন। আয়েশার নিয়োগের বিষয়টি সেপ্টেম্বর থেকে ঝুলে আছে।
No comments:
Post a Comment