প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী অন্যান্য রাজ্যের ন্যায় সোমবার থেকে বিহারেও ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাদান শুরু হয়েছে। এখানে, সিএম নীতীশ কুমার, পাটনার আইজিআইএমএস থেকে ৮৩ লাখ ৪৬ হাজার শিশুকে নিয়ে টিকা দান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। এরপরই গোটা রাজ্যে শুরু হয় টিকাদান। কিন্তু প্রথম দিনেই বিহারের নালন্দায় টিকাদানে গাফিলতির বড় ঘটনা সামনে এসেছে। সোমবার, দুই কিশোরকে কোভ্যাক্সিনের পরিবর্তে কোভিশিল্ডের ডোজ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, কোভিশিল্ড টিকা শিশুদের ওপর এখনও ট্রাইল করা হয়নি, তা সত্ত্বেও, বিহার শরীফে দুজনকে একই ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। কিশোর-কিশোরীরা কোভ্যাক্সিনের পরিবর্তে কোভাশিল্ড ব্যবহারের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীর কাছে অভিযোগ করলে, তিনি কোনও গুরুত্ব না দেখিয়ে বলেন যে, কোভিশিল্ড নিলে কোনও সমস্যা হবে না।
পীযূষ রঞ্জন এবং আরিয়ান কিরণ হল সেই শিশু, যাদের কোভ্যাক্সিনের পরিবর্তে কোভিশিল্ডের টিকা দেওয়া হয়েছে। দুজনেই বিহার শরীফের প্রফেসর কলোনির বাসিন্দা। ভুল ডোজ সম্পর্কে, দুই ভাই বলেন যে, তারা রবিবার কোভ্যাক্সিনের জন্য একটি স্লট বুক করেছিলেন। এরপর সকাল ১০টা নাগাদ তারা নালন্দা স্বাস্থ্য দফতর পরিচালিত টিকা কেন্দ্র আইএমএ হলে যান। সেখানে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের টিকা দেওয়া হয়। টিকা দেওয়ার পর দেখা গেল দুই ভাইকে কোভ্যাক্সিনের পরিবর্তে কোভাশিল্ডের টিকা দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা সম্পর্কে দুই কিশোরের বাবা প্রিয়রঞ্জন জানান, স্বাস্থ্য দফতরের এই বড় অবহেলায় পরিবারের সদস্যরা ক্ষুব্ধ। আমরা অপ্রীতিকর কিছু ভয় পাই। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর উভয় কর্মচারীকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার কোনও তথ্য নেই।
এই বিষয়ে, নালন্দার সিএস বলেন, যে কর্মী টিকা দিয়েছেন তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে যে কর্মচারী ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন দিয়েছিলেন তিনি করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এরপর নতুন জিএনএমের সঙ্গে এই ভুল হয়েছে। সিএস বলেন যে, ডিউটিতে থাকা জিএনএম বাচ্চাদের টিকা দেয়নি বরং একজন জিএনএম ছাত্র তাদের উভয়কেই টিকা দিয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কিশোরের স্বজনদের আশ্বস্ত করা হয়েছে এবং এ জন্য তারা ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা পাবে, যার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে তাদের নম্বর দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment