দেশ জুড়ে করোনা আবারও তার ভয়াবহ রূপ দেখানো শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ হাজারের বেশি নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লী এবং মহারাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ভুগছে করোনা এবং ওমিক্রনে।
দিল্লীতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৪। এ প্রসঙ্গে দিল্লীর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, দেশে তৃতীয় তরঙ্গ এসেছে এবং পঞ্চম তরঙ্গ এসেছে দিল্লীতে। মনে হচ্ছে আজ প্রায় ১০ হাজার পজিটিভ রিপোর্ট হবে এবং পজিটিভিটির হার প্রায় ১০% হবে।
জৈন বলেন, গোটা দেশে করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তবে এটি এখন বেশ মৃদু, খুব বেশি আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। হোম আইসোলেশন প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন যে, এখন পর্যন্ত বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য ১০% শয্যা ছিল, এখন তাদের ৪০% সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে প্রায় ২% শয্যা পূর্ণ।
প্রসঙ্গত, দেশে এখন পর্যন্ত ২,১৩৫ জন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে এই রূপটিতে সংক্রামিত রাজ্যের সংখ্যা বেড়ে ২৪ হয়েছে। সর্বাধিক সংখ্যক আক্রান্ত মহারাষ্ট্র এবং রাজধানী দিল্লীতে। এরপর তিন নম্বরে রয়েছে কেরালা। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৬৫৩ জন, দিল্লীতে ৪৬৪ জন এবং কেরালায় ১৮৫ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, এখন দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৪ জনে। একইসঙ্গে এই মহামারীতে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৫১ জন। তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ১৫ হাজার ৩৮৯ জন সুস্থ হয়েছেন, এরপর এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৮০৩ জন সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন।
দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের আওতায় এ পর্যন্ত ১৪৭ কোটির বেশি ডোজ অ্যান্টি-করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার ২৩৮ ডোজ দেওয়া হয়েছে, এরপর এ পর্যন্ত ১৪৭ কোটি ৭২ লাখ ৮ হাজার ৮৪৬ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment