উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে যত্নের রুটিন অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক শরীরের একটি সূক্ষ্ম অঙ্গ। সেই সঙ্গে ত্বকের যত্নে বাজারে পাওয়া দামি পণ্য বেশির ভাগ মানুষই ব্যবহার করেন।
আপনি যদি সত্য বিশ্বাস করেন যে এই পণ্যগুলি ত্বকের জন্য উপকারী, তাহলে আপনি ভুল বোঝাবুঝির শিকার হতে পারেন। এই দামী পণ্যগুলো এমন অনেক রাসায়নিক দিয়ে তৈরি, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
এগুলো কিছু সময়ের জন্য আপনাকে ভালো ফল দিতে পারলেও পরে ত্বকের ক্ষতি করে। পরিবর্তে, আপনি ভেষজ পণ্যগুলি আপনার কিটের একটি অংশ বানাতে পারেন।
বিশেষ বিষয় হল তাদের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এই কারণেই তাদের অন্যান্য পণ্য থেকে আলাদা করে তোলে।
ভেষজ ঠোঁট বাম: শীতকালে ঠোঁট ফাটা ও ক্ষত তৈরির সমস্যা দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে, লোকেরা বাজারে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরণের লিপবাম ব্যবহার করা শুরু করে এবং তারা স্বস্তি দেয় তবে ক্ষতিও করে।
এর বদলে হার্বাল লিপ বামের সাহায্য নিন। এতে ঠোঁট কোমল হবে এবং সুস্থও হবে।
ভেষজ শ্যাম্পু: শীতে গরম জল দিয়ে স্নানের ফলে চুলে খুশকি শুরু হয়। শুধু তাই নয়, এই সময়ে চুল সংক্রান্ত আরও অনেক সমস্যাও আপনাকে কষ্ট দেয়।
কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি পণ্যও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। হার্বাল শ্যাম্পুর ব্যবহারে রাখুন কারণ এতে অ্যালোভেরা এবং নিমের মতো প্রাকৃতিক জিনিসের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
ভেষজ শরীরের লোশন: হার্বাল বডি লোশন শুধু ত্বককে নরম রাখে না, এটি দীর্ঘ সময় ধরে হাইড্রেটেড রাখতেও কার্যকর।
জেনে নিন রাসায়নিকভাবে তৈরি বডি লোশন যতই দামী হোক না কেন ত্বকের জন্য ভালো নয়? হারবাল বডি লোশনকে কিটের একটি অংশ বানিয়ে ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানির সমস্যা দূর করুন।
মুখ ধোয়া: রাসায়নিক দিয়ে তৈরি ফেস ওয়াশ যদি ত্বকের সঙ্গে মানানসই না হয়, তাহলে তা মুখে ব্রণ এবং অন্যান্য সমস্যা তৈরি করে।
অতএব, ভেষজ মুখ ধোয়াকে রুটিনের একটি অংশ করুন, কারণ এটি বিশ্বাস করা হয় যে তাদের মুখে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
ভেষজ তেল: শীতের মৌসুম চলছে এবং চুলের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করতে সপ্তাহে দুবার তেল মালিশ করতে হবে।
আপনি অনেক ধরণের ভেষজ তেল পাবেন যা তাদের স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর করতে কার্যকর। এগুলোকে আজ আপনার রুটিনের একটি অংশ করে নিন।
No comments:
Post a Comment