লালন-পালন শিশুর আচার-আচরণ ও চিন্তা-ভাবনার ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। শিশু যে পরিবেশে বড় হয় তার প্রভাব তার ভবিষ্যতের ওপরও পড়ে।
শিশু প্রথম থেকেই উৎসাহ পায় তাহলে সে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। সন্তান যদি তার পিতামাতাকে অনেক কষ্ট করতে দেখে, তবে তাদের সহনশীলতা দেখে সে ধৈর্য ধরতে শেখে। একটি শিশু যদি প্রথম থেকেই প্রশংসা পায়, তবে বড় হয়ে সে অন্যের প্রশংসা করতে শেখে। শিশু যদি তার বাড়িতে এবং আশেপাশে সততা দেখে, তবে সে সত্যটি শিখে।
শিশু যদি নিরাপদ পরিবেশে থাকে, তাহলে সে নিজেকে এবং অন্যকে বিশ্বাস করতে শেখে। শৈশব থেকে যদি তাকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়, তবে সে অন্যের নিন্দা করতেও শেখে। ছোটবেলা থেকেই যদি কোনো শিশু ঘরে ঝগড়া-বিবাদ দেখে তাহলে সেও মারামারি করতে শেখে।
ছোটবেলা থেকেই যদি তাকে একধরনের ভয়ের সম্মুখীন হতে হয়, তবে সে যখন বড় হয় তখন সে সবসময় শঙ্কিত বা চিন্তিত থাকে। তাকে ঘরে-বাইরে সব সময় ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হলে সে লাজুক ও লাজুক হয়ে যায়। শিশু যদি এমন পরিবেশে বড় হয়ে থাকে যেখানে তাকে ঈর্ষার অনুভূতির সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে সে বড় হওয়ার পর শত্রুতা শিখে।
অভিভাবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অভিভাবকদের কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে, যেমন- আপনি যদি চান সন্তান আপনাকে এবং অন্যদের সম্মান করুক, তাহলে প্রথমে সন্তানকে সম্মান দিন। আপনার প্রিয়জনের উপর আস্থা রাখুন। শিশুকে সুশৃঙ্খল করার জন্য কিছু নিয়ম তৈরি করুন, তবে সেগুলো যেন এমন না হয় যাতে পরিবর্তনের সুযোগ না থাকে। অভিভাবকরা যেমন শিশুদের শেখান, তেমনি তারা শিশুদের কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখতে পারেন।
শিশুর আত্মবিশ্বাস রক্ষা করুন। তাকে এমন সব কাজ করতে দিন যা তার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। যখন সে বড় হবে, তাকে নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে দিন তাকে পরবর্তীতে কী করতে হবে। তার উপর আপনার স্বপ্ন এবং আশা চাপিয়ে দেবেন না। সন্তানের প্রতি ভালোবাসার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করুন।
আপনি যখনই সুযোগ পান তাকে আলিঙ্গন করুন এবং তাকে বলুন যে আপনি তাকে কতটা ভালবাসেন। এর থেকে সে অন্যকে ভালোবাসতে শেখে। যখনই সন্তান আপনার সামনে আসবে, আপনার চোখে সুখ দেখতে হবে, কষ্ট বা দুঃখ নয়। আপনি যদি চান যে শিশুটি জিনিসগুলির প্রশংসা করুক, তবে তাকে শেখান যে সে জীবনে যা কিছু পায়, তাকে ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ হওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment