মোবাইল সংযোজন শিশুদের মস্তিষ্কে কতটা প্রভাব ফেলে? - প্রেসকার্ড | press card news |

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 3 January 2022

মোবাইল সংযোজন শিশুদের মস্তিষ্কে কতটা প্রভাব ফেলে?



কখনও শিশুদের মজা দিতে, কখনও জেদের কারণে অভিভাবকরা তাদের মোবাইল দিয়ে দেন।  আজকাল স্মার্টফোন শিশুর খেলনা হয়ে উঠেছে, কিন্তু আপনি কি জানেন মোবাইল আপনার সন্তানের মস্তিষ্ককে দুর্বল করে দিতে পারে?  শিশুদের মস্তিষ্কে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের প্রভাব কী?  আসুন, জেনে নেই।


 * আচরণগত সমস্যা: 


আপনার শিশু যদি বাইরে খেলার পরিবর্তে মোবাইলে গেম খেলায় ব্যস্ত থাকে, তাহলে তার আচরণগত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা সেইসব শিশুর তুলনায় বেশি থাকে যারা বাইরে গিয়ে তাদের শিশুদের সাথে খেলতে পারে।  ক্ষণে ক্ষণে মেজাজ পরিবর্তন: আজকাল বেশিরভাগ শিশুরই মেজাজ পরিবর্তনের সমস্যা দেখা যায়।  তারা এক মুহুর্তে খুশি হয়, তারপর পরের মুহুর্তে খিটখিটে ও দুঃখী হয়।  আসলে, মেজাজ পরিবর্তনের একটি বড় কারণ মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার।  যেসব শিশু সবসময় স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ট্রাই করতে ব্যস্ত থাকে, তারা এই ধরনের সমস্যায় বেশি হয়। 


 * দুর্বল স্মৃতি: 


মোবাইল ফোন থেকে নির্গত বিকিরণের কারণে মস্তিষ্কের চিন্তা করার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  তাই যেসব শিশু দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে ব্যস্ত থাকে, তাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে থাকে।  


*শিক্ষার অক্ষমতা: 


বাচ্চাদের পড়ার পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এসেছে।  এখন তাদের আর আমাদের মত পড়তে খুব একটা মস্তিস্ক খরচ হয় না, কারণ ইন্টারনেটের কারণে তারা এক ক্লিকেই সব তথ্য পেয়ে যায়, তাই তাদের কিছু মনে রাখতে হয় না।  মোবাইলের সাহায্যে গণিতের সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন সমাধান করুন, যা এখন একটি মিনি কম্পিউটারে পরিণত হয়েছে।  এখন তাদের রুক্ষ কাগজে গুণন করার দরকার নেই, ফলে শিশুরা স্বাভাবিকভাবে পড়তে ভুলে গেছে। 

 * আক্রমনাত্মক আচরণ: 


বাচ্চাদের হাতে মোবাইল থাকার কারণে তাদের মন 24/7 দিন এতে নিযুক্ত থাকে, কখনও গেম খেলে, কখনও সোশ্যাল সাইট, কখনও কিছু খুঁজতে থাকে, অর্থাৎ তাদের মন বিশ্রাম পায় না।  মনের শান্তি ও প্রশান্তি না থাকার কারণে তাদের আচরণ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।  কখনও কখনও কারও সাথে সাধারণ কথোপকথনের সময়ও তারা ক্রুদ্ধ এবং খিটখিটে হয়ে ওঠে।  এই ধরনের শিশুরা অন্য কারো সাথে দ্রুত মিশতে পারে না, অন্যের সঙ্গ তাদের অস্বস্তিকর করে তোলে। 


* মনোনিবেশ করতে না পারা: 


ক্রমাগত ক্ষতিকারক বিকিরণের সংস্পর্শে থাকার কারণে মস্তিষ্ককে অনেক সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়।  এটি মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকেও প্রভাবিত করে।  


মোবাইল সবসময় শিশুদের মনে ঘুরপাক খায়, এমন গেমে কীভাবে পরবর্তী স্তরে পৌঁছাবেন?  


যদি একটি সামাজিক সাইটে, নতুন আপডেট কি? 


 ইত্যাদি।  মনের মধ্যে এমন কিছু ঘোরাঘুরির কারণে তারা পড়ালেখায় মন দিতে পারছে না।  স্পষ্টতই, এমন পরিস্থিতিতে তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে তিরস্কার শুনতে হবে।  বাড়িতে এবং স্কুলে বারবার বিব্রত হওয়ার কারণে তারা ধীরে ধীরে হতাশ হতে শুরু করে।  


* কাল্পনিক জগতে হারিয়ে যাওয়া: 


মোবাইলে সোশ্যাল সাইট সহজলভ্য হওয়ার কারণে শিশুরা বেশির ভাগ সময়ই আপনার চোখ এড়িয়ে ব্যস্ত থাকে।  আপনার প্রকৃত বন্ধুদের পরিবর্তে ভার্চুয়াল জগতে বন্ধু তৈরি করুন এবং একই ভার্চুয়াল জগতে হারিয়ে যান।  অভিভাবকদের বারবার প্রত্যাখ্যান সত্ত্বেও তারা তাদের থেকে চোখ রক্ষা করে সোশ্যাল সাইটে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad