চিনি খাওয়া নিয়ে নানা বাধা থাকতে পারে। কারণ এটি স্বাদে মিষ্টি হলেও অনেক অসুখের কারিগর। আপনি যদি অতিরিক্ত চিনি খান তবে কম বয়সেই নানা অসুখ এসে বাসা বাঁধবে। তাই চিনি যত কম খাওয়া যায় ততই কল্যাণ।
বরং খাওয়ার বদলে মুখে মাখুন। এতে মিলবে বেশি উপকার। অবাক করা হলেও এটি সত্যি। চিনি খাওয়া নানা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে মুখে চিনি মাখা ত্বকের জন্য ভালো। জেনে নিন ত্বকে চিনি ব্যবহারের উপকারিতা:
ত্বক উজ্জ্বল করে: ত্বকে স্ক্রাব হিসেবে চিনির ব্যবহার বেশ কার্যকরী। স্ক্রাব তৈরির জন্য পরিমাণমতো অলিভ অয়েল, চিনি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে।
এরপর এই মিশ্রণ আলতো হাতে ঘষে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। এবার হালকা গরম জলে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
সপ্তাহে অন্তত একদিন এভাবে ব্যবহার করলে ত্বক দ্রুতই উজ্জ্বল হবে।
এক্সফোলিয়েশন হিসেবে কার্যকরী: ত্বকে মৃত কোষ জমলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। এই মৃত কোষ দূর করার আছে প্রাকৃতিক উপায়। যাকে বলা হয় এক্সফোলিয়েশন।
এক্সফোলিয়েশনের জন্য ভালো কাজ করে চিনি। প্রথমে এক চা চামচ নারিকেল তেল গরম করে তার সঙ্গে দুই চা চামচ চিনি মিশিয়ে নিতে হবে।
এরপর মিশ্রণটি মুখে ভালোভাবে স্ক্রাব করে নিতে হবে। কিছুক্ষণ পরে হাল্কা গরম জলে মুখ ধুয়ে নেবেন। এতে ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ দূর হবে।
স্ট্রেচ মার্ক দূর করে: মা হওয়ার পরে স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয়। আবার অনেক সময় ওজন কমে গেলেও ত্বকে স্ট্রেচ মার্ক পড়তে পারে।
চামড়ার উপরে ফাটা দাগ দেখে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই স্ট্রেচমার্ক দূর করার সহজ একটি ঘরোয়া উপায় হতে পারে চিনি।
চিনি, কফি, আমন্ড অয়েল ও মধু মিশিয়ে দাগের উপর ব্যবহার করুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে দাগ দূর হয়ে যাবে।ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে
নানা কারণে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা হারাতে পারে। ফলে ত্বক হয়ে পড়ে অনুজ্জ্বল। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ব্যবহার করুন চিনি।
চিনি, তিলের তেল ও কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মিনিট দশেক মুখে লাগিয়ে রাখুন।
এবার হাল্কা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজার। এতে ত্বক আর্দ্র ও উজ্জ্বল থাকবে।ঠোঁট কোমল করে
শুধু শীতকালে নয়, গরমেও অনেকের ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও ঠোঁট অনেক সময় রুক্ষ হয়ে ওঠে।
ঠোঁটের কোমলতা ফেরাতে চাইলে ব্যবহার করুন চিনি। সেজন্য চিনি বিটের রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এই মিশ্রণ ঠোঁটে মাসাজ করতে হবে।
কিছুক্ষণ পর হাল্কা গরম জলে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ঠোঁট কোমল হবে এবং ঠোঁটের রং গোলাপি হবে।
No comments:
Post a Comment