বাস্তুশাস্ত্র হল প্রকৃতির স্রোতের সাথে বসবাসের বিষয়। নির্দেশের প্রভাব বোঝার মাধ্যমে, তাদের সুবিধা নেওয়া যেতে পারে। জীবনকে সমৃদ্ধ ও সুখী করা যায়।
বাস্তুশাস্ত্র প্রধান আটটি দিক সম্পর্কে জ্ঞান দেয়। উত্তর-পূর্ব অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব দিককে আলোক দিক বলে মনে করা হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোণ একটি ভারী দিক বলে মনে করা হয়। তাপ পূর্ব থেকে দক্ষিণে বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণ থেকে পূর্ব দিকে তাপ কম। সূর্য উত্তর-পূর্ব দিক থেকে উচিৎ হয়। সেখানে এটি পশ্চিমে স্থির হয়।
এটা মাথায় রেখেই বাস্তুর সাধারণ নিয়ম গৃহীত হয়। সূর্যোদয়ের দিক হল ঈশ্বরের উপাসনার দিক। এটি সবচেয়ে পরিষ্কার, বিশুদ্ধ এবং হালকা রাখা হয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয় প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম। লেখাপড়া, লেখাপড়া ও খেলাধুলার পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও আলোচনার দিকনির্দেশনা রয়েছে।
এর পর আসে খাবারের পালা। খাদ্য রান্না করা হয় দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অর্থাৎ আগ্নেয় কোণে। দক্ষিণ দিকে সূর্যের আলোর প্রভাব বাড়ে। এখানে ছায়া প্রয়োজন। এই দিকে ঘন এবং শক্তিশালী গাছ লাগানো উচিৎ। দেয়াল ন্যূনতম খোলা রাখা উচিৎ। বাম কোণ উচ্চতর দিক । শোবার ঘরে এই কোণে থাকা শুভ। ঘুমানোর সময় মাথা দক্ষিণ দিকে রাখা উচিৎ। একইভাবে, সমস্ত বাস্তু সহজেই মানা যায়।
উত্তর-পশ্চিম দিক এটি অতিথিদের আগমনের দিক হিসাবে বিবেচিত হয়। শিশুদের শয়নকক্ষ এবং অতিথি কক্ষগুলি এই দিক দিয়ে সাজানো উচিৎ। উত্তর দিকে একটি খোলা জায়গা রাখা উচিৎ। বাড়ির প্রধান দরজা উত্তর দিকে রাখতে হবে।
No comments:
Post a Comment