কেউ প্রেমে পাহাড় খোদাই করে রাস্তা তৈরি করে, তারপর কেউ কূপ খনন করে জল সরিয়ে দেয় আবার কেউ বিপদজনক খালের উপর সেতু তৈরি করে দেয়দেয়, কিন্তু আপনি কি এমন কাউকে চেনেন যে তার ভালোবাসাকে এতটাই পূজা করেন যে তার জন্য মন্দির তৈরি করেছেন। কর্ণাটকে এমন অনেক লোক আছেন যারা এই মন্দিরটি দেখেছেন, যেখানে স্ত্রী প্রেমের এক অনন্য উদাহরণ সামনে এসেছে। এই মন্দিরের বিশেষ বিষয় হল এই মন্দিরটি নির্মাণকারী স্থানীয় এক কৃষক মন্দিরে তার স্ত্রীর মূর্তিও স্থাপন করেছেন।
স্ত্রী প্রেমের উদাহরণ
কর্ণাটকের ইলেন্দুর জেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে বসবাসকারী কৃষক রাজস্বামী ওরফে রাজু বেশ আলোচনায়। রাজস্বামী এখানে তাঁর স্ত্রীর জন্য একটি মন্দির তৈরি করেছেন। এই মন্দিরটি তার এবং তার স্ত্রীর ভালবাসার একটি জীবন্ত প্রতীক। এই মন্দিরে তাঁর স্ত্রীর মূর্তিও স্থাপিত আছে। প্রায় ১২ বছর ধরে রাজু প্রতিদিন এখানে পুজো দিতে আসেন। মানুষ এখন রাজু স্বামীর স্ত্রী প্রেমের উদাহরণ দিচ্ছে।
অনন্য প্রেমের গল্প
রাজস্বামী, তার প্রেমের গল্প বর্ণনা করে বলেছিলেন যে তিনি তার বোনের মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, যাকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসতেন। তবে তার পরিবার ও সমাজের সবাই এর বিরুদ্ধে ছিল। ভালো কথা হলো এই সম্পর্ক নিয়ে তার বোন ও বোনের বরের কোনো সমস্যা হয়নি। তাই সে বিয়ে করেছে। তার স্ত্রীর কিছু বিশেষ ক্ষমতা ছিল। তিনি প্রচুর উপাসনা করতেন, এবং তিনি যা কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা সত্য হয়েছিল।
এভাবেই মন্দিরের চিন্তা এলো
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সুখের জীবন যাপন করছিলেন। তার স্ত্রী প্রায়ই গ্রামে মন্দির নির্মাণের কথা বলতেন। ২০০৬ সালে, মন্দিরের নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছিল, যখন হঠাৎ একদিন তার স্ত্রী নিজের মৃত্যুর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। মন্দিরের কাজ শেষ হওয়ার আগেই সে মারা যায়। এর পরে, দেবতা ছাড়াও, রাজু এই মন্দিরে স্ত্রীর মূর্তিও স্থাপন করেছিলেন, যেখানে তারও পূজা করা হয়। এখন মানুষ এটাকে ভালোবাসার মন্দির বলে।
No comments:
Post a Comment