গতকাল (বুধবার) পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের গোলযোগ হয়েছে। এবার এ বিষয়ে আরও একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। ভারতীয় কিষাণ সংঘের নেতা সুরজিত সিং ফুল স্বীকার করেছেন যে, ভারতীয় কিষাণ সংঘের কর্মীরাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর পথ আটকে দিয়েছিল। তিনি বলেন, পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে আসছেন।
পাঞ্জাব সরকার উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে
একই সঙ্গে, এখন পাঞ্জাবের চরণজিৎ সিং চান্নি সরকার এই বিষয়ে অ্যাকশনে রয়েছে। পাঞ্জাব সরকার বিষয়টি তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কমিটি তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। একজন সরকারী মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মেহতাব সিং গিল এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হোম অ্যাফেয়ার্স এবং বিচারপতি অনুরাগ ভার্মা থাকবেন।
উল্লেখ্য, এসপিজি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং যে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন সেই রাজ্যের স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন, তিনজনই প্রধানমন্ত্রীর রুট ঠিক করে। এটি একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এসপিজি নেয়। রুটের নিরাপত্তার দায়িত্ব স্থানীয় পুলিশ। অর্থাৎ রুটে কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে তা দূর করার দায়িত্ব স্থানীয় পুলিশের।
সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে, কৃষকরা যদি কয়েক ঘণ্টা ধরে সেখানে বসে থাকত, তাহলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে অবিলম্বে এ বিষয়ে অবহিত করা উচিৎ ছিল এবং নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কনভয়কে পূর্ব-নির্ধারিত ব্যাকআপ রুটে নিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল, কিন্তু তা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ত্রুটিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং পাঞ্জাব সরকারের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে। অমিত শাহ নিজেই ট্যুইট করেছেন এবং বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ত্রুটি গ্রহণযোগ্য নয়, প্রত্যেকের জবাবদিহিতা ঠিক করা হবে।
No comments:
Post a Comment