রাজস্থানের বুন্দি শহর, তিন দিকে আরাবল্লী পর্বতমালা দ্বারা বেষ্টিত। রাজস্থানের বেশিরভাগ শহর বিশেষ করে তাদের দুর্গ এবং প্রাসাদের জন্য বিখ্যাত, কিন্তু বুন্দিকে বিশেষ করে তোলে তার চিত্রকর্ম।আসুন এটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
বুন্দি তার স্বতন্ত্র চিত্রকলার শৈলীর জন্য সুপরিচিত, যা মধ্যযুগীয় সময়কালে এই অঞ্চলে বিকাশ লাভ করেছিল। লাল, হলুদ রঙের প্রাচুর্য, ছোট আকার, প্রকৃতির রঙিন চিত্রণ বিশেষ করে বুন্দি শৈলীতে পাওয়া যায়। রসিকপ্রিয়া, কবিপ্রিয়া, বিহারী সাতসই, নায়ক-নায়িকার পার্থক্য, ঋতুবর্ন ছিল বুন্দি চিত্রশৈলীর প্রধান বিষয়। এই শৈলীতে পশু-পাখির সর্বোত্তম চিত্রায়ন করা হয়েছে, তাই একে 'পশু ও পাখির চিত্রশৈলী'ও বলা হয়।
বুন্দি পেইন্টিংয়ের বৈশিষ্ট্য
এখানকার চিত্রকর্মের নারী চরিত্রগুলো খুবই আকর্ষণীয়। তীক্ষ্ণ নাক, বাদামের মতো চোখ, পাতলা কোমর, ছোট ও গোলাকার মুখ ইত্যাদি নারী চিত্রায়নের প্রধান বৈশিষ্ট্য। চিত্রকর্মে আম ও পিপল গাছের পাশাপাশি ফুল, পাতা ও লতা চিত্রিত করা হয়েছে। ছবির ওপরে গাছ বানানো এবং তার নিচে জল, পদ্ম, হাঁস ইত্যাদি আঁকা বুন্দি চিত্রকলার বিশেষত্ব।
মুঘলরা এতে উৎসাহিত হয়
মুঘলদের প্রভাবে আসার পর এখানকার চিত্রকলায় নতুন মোড় আসে এবং এখানকার চিত্রকলায় মুঘল প্রভাব বাড়তে থাকে। রাও রত্না সিং অনেক চিত্রশিল্পীকে দরবারে আশ্রয় দিয়েছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দীতে চিত্রকলার ক্ষেত্রে বুন্দি ব্যাপক উন্নতি করেছিল। ১৬৯২ খ্রিস্টাব্দের 'বসন্ত্রাগিনী' চিত্রটিতে বুন্দি শৈলী আরও সমৃদ্ধ দেখা যায়। পরবর্তীতে বুন্দি শৈলী সমৃদ্ধির শিখরে ছুঁতে থাকে। আপনি এখানকার অনন্য স্থাপত্য শিল্পের সঙ্গে এই চিত্রকলার শৈলীর প্রেমে পড়বেন।
No comments:
Post a Comment