গ্রহ দোষ:
হিন্দু ধর্মে যজ্ঞের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এর দ্বারা সমস্ত ধরণের বাস্তু দোষ এবং গ্রহ দোষ দূর হয়। আসুন জেনে নিই যজ্ঞের ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব
বাস্তু ও গ্রহ দোষ:
হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে যজ্ঞ ছাড়া কোনও শুভ কাজ বা পূজা সম্পন্ন হয় না। এটি পরিবেশকেও বিশুদ্ধ করে। অনেক গবেষণায় বলা হয়েছে যে হবন করলে পরিবেশে দ্রবীভূত দূষণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এতে পরিবারে পজিটিভ এনার্জি আসে। এটি একটি ধর্মীয় বিশ্বাস যে একটি খারাপ ঘটনা এড়াতে বা নিজের ইচ্ছা পূরণের জন্য যজ্ঞ করা হয়। এভাবে যজ্ঞের শুধু ধর্মীয় তাৎপর্যই নয়, এর বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও বলা হয়েছে। আসুন জেনে নিই যজ্ঞের ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব সম্পর্কে,
যজ্ঞের বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য
যজ্ঞে রাখা হয় আম কাঠ, লতা, নিম, কলিঙ্গজ, পিপলের ছাল, পলাশ গাছ, দেবদারু, বরই, কর্পূর, চিনি যব, চাল, চন্দন। এই উপাদানের মাধ্যমে যজ্ঞ করার সময় যে ধোঁয়া বের হয় তা বায়ুমণ্ডলকে শুদ্ধ করে। যজ্ঞে যে সমস্ত হবন উপাদান করা হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিজ্ঞানীদের মতে, হবনে গোবরের পিঠা ব্যবহার করা হয়। প্রায় 94 শতাংশ ব্যাকটেরিয়া তাদের দ্বারা ধ্বংস হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যজ্ঞ করলে অনেক ধরনের ক্ষতিকর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ধর্মীয় তাৎপর্য
হিন্দু ধর্মে হবনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এর গুরুত্ব অনুমান করা যায় যে হবন ছাড়া কোনও কাজই সম্পূর্ণ হয় না। এটি একটি ধর্মীয় বিশ্বাস যে কোনও ব্যক্তি যদি কোনও গ্রহের দোষে আক্রান্ত হন তবে তার হবন করা উচিৎ। এই কারণে গ্রহগুলির অবস্থা শান্তিপূর্ণ। হবন শেষ হলে ব্রাহ্মণদের খাবার খাওয়াতে হবে এবং বস্ত্র ও মুদ্রা দান করতে হবে।
No comments:
Post a Comment