বাস্তুশাস্ত্রে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আনতে অনেক প্রতিকার বলা হয়েছে। যদি ঘরে সচ্ছলতা না থাকে বা লক্ষ লক্ষ চেষ্টার পরেও আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স না বাড়ে, তাহলে আপনি কিছু বিশেষ বাস্তু প্রতিকার করে দেখতে পারেন। বরকতের জন্য কাচের পাত্রে বা বাটিতে সামান্য মোটা লবণ নিয়ে বাটিতে লবণসহ চার থেকে পাঁচটি লবঙ্গ রাখুন। এই বাটিটি ঘরের যেকোনও কোণে রাখুন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে অর্থের প্রবাহ শুরু হবে এবং বাড়ির জিনিসগুলিও শুভ থাকবে।
আপনি জানলে অবাক হবেন যে ডাস্টবিন কোথায় রাখা হয়, এটি আমাদের আর্থিক জীবনকেও প্রভাবিত করে। বাস্তু অনুসারে, ডাস্টবিন বা ঘরের বর্জ্য বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রাখা উচিৎ নয়, কারণ এই কোণে থাকা ময়লা সম্পদ নষ্ট করে।
বাস্তু অনুসারে, প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করার পরে বাড়ির দেহরি বা দেহলির পুজো করা উচিৎ। বাড়ির প্রধান গেটের চারপাশে একটি স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করুন এবং একটি প্রদীপ জ্বালান। এর সঙ্গে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা কর্পূর জ্বাল দিন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে কর্পূর পোড়ানো বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে।
সম্পদ বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন হনুমান চালিসা পাঠ করুন। ৫ মঙ্গলবার বাধের পাতায় ময়দার প্রদীপ জ্বালিয়ে হনুমানজির মন্দিরে রাখুন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে হনুমান জির বিশেষ পূজা করলে অর্থ লাভের পথ খুলে যায়।
খাবার খাওয়ার আগে অগ্নিদেবতাকে নিবেদন করুন। মনে করা হয়, আগুনে রান্না করা খাবারের ওপর আগুনেরই প্রথম অধিকার। অগ্নিদেবতাকে অন্ন নিবেদন করলে বাড়ির অন্ন-ভাণ্ডার কখনও খালি হয় না।
হিন্দু ধর্মে পিপল গাছকে পূজনীয় বলে মনে করা হয়। শনিবার একটি স্টিল বা রূপার পাত্রে কালো তিল, কাঁচা দুধ, গঙ্গাজল, গুড়, মধু একটি পিপল গাছে রেখে গাছের মূলে অর্পণ করুন। তারপর সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালান। প্রতি শনিবার এই কাজটি করুন। এটি করলে দুর্ভাগ্য দূর হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
ঘরে সমৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন। দেবী লক্ষ্মীর ধ্যান করার পর কপালে খাঁটি জাফরানের তিলক লাগান। কর্পূর দিয়ে মায়ের আরতি করুন। ঘরের কিছু জায়গায় কর্পূর না পুড়িয়ে রাখুন। এতে করে বাস্তু দোষ দূর হয়।
No comments:
Post a Comment