বর্তমান সময়ে জুতা এবং চপ্পল মানুষের স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে উঠেছে। জুতার ভিত্তিতে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেকেই জানেন। শুধু তাই নয়, ঘরে জুতা ও চপ্পল রাখার কিছু নিয়ম রয়েছে। এগুলোকে উপেক্ষা করলে অনেক ধরনের আর্থিক সমস্যা ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে। বাস্তু মতে, ভাগ্যও কোথাও জুতা-চপ্পল দ্বারা প্রভাবিত হয়। নিয়মিত ব্যবহার করা জুতা এবং চপ্পল সম্পর্কে বাস্তুতে অনেক কথা বলা হয়েছে। চলুন জেনে নিই পাদুকা নিয়ে কী কী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
জুতা কিনুন
জুতা নষ্ট হয়ে গেলে যে কোনও দিন আমরা নতুন জুতা ও চপ্পল কিনি। কিন্তু বাস্তু মতে জুতা-চপ্পলও দিন দেখে কেনা উচিৎ। বাস্তুর নিয়মের কথা মাথায় রেখে লোকেরা অমাবস্যা, মঙ্গলবার, শনিবার এমনকি সূর্যগ্রহণের দিনেও জুতা ও চপ্পল কেনে। এতে করে একজন ব্যক্তিকে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতে পারে। এটা করা থেকে বিরত থাকুন।
জুতা পরে দোকানে যাবেন না
বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বাড়ির ভাণ্ডারে জুতা এবং চপ্পল পরা এড়িয়ে চলতে হবে। ঘরের সেই জায়গা যেখানে ঘরের খাদ্যশস্য বা খাদ্য সামগ্রী রাখা হয়। পাদুকা ইত্যাদি পরিধান করে ঐ স্থানে যাওয়া খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্যের অপমান। এতে মা অন্নপূর্ণাও রেগে যেতে পারেন।
রান্নাঘর
বাড়ির রান্নাঘরও মা অন্নপূর্ণার স্থান বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, অগ্নিদেবও এখানে বাস করেন বলে কথিত আছে। অনেক সময় মানুষ জুতা-চপ্পল পরে এখানে যায়। রান্নাঘরকে বাড়ির সবচেয়ে পবিত্র স্থান বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এখানে জুতা-চপ্পল নেওয়া নিষেধ।
দান
পুরনো জুতা ও চপ্পল ফেলে না দিয়ে কাউকে দান করাই ভালো। তবে তাও দিন দেখে করা উচিৎ। না ভেবে কাউকে দান করবেন না। এমনটা করলে ভাগ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। কথিত আছে যে শনিবার জুতা ও চপ্পল দান করা শুভ বলে মনে করা হয়।
No comments:
Post a Comment