আমাদের শরীরে যদি হঠাৎ করে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে তা বিপজ্জনক হওয়ার পাশাপাশি নানা রোগের কারণ হতে পারে। শরীরে যখন ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে, তখনই এর প্রভাব শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পড়তে শুরু করে। এমনকি আপনি জয়েন্টের ব্যথা থেকে শুরু করে ব্লাড সুগার, আর্থ্রাইটিস, হার্টের সমস্যা এবং স্থূলতার মতো অনেক সমস্যার শিকার হতে পারেন। তাই ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের সেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, যেগুলোতে পিউরিনের পরিমাণ বেশি। যখন ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়, তখন আপনার খাবারের প্রতিও বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে ওষুধ ছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলেও বর্ধিত ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই ঘরোয়া প্রতিকার হল আদা।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে আদা কীভাবে সহায়ক -
সবাই অবশ্যই আদা খান। আদা শুধু খাবার হিসেবেই ব্যবহৃত হয় না, এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা বর্ধিত ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এর পাশাপাশি এটি ফোলা ও ব্যথা কমাতেও সহায়ক।
ইউরিক অ্যাসিডের রোগীরা কিভাবে আদা ব্যবহার করবেন -
ইউরিক অ্যাসিডের রোগীরা বিভিন্নভাবে আদা খেতে পারেন। চায়ের সাথে আদা মিশিয়ে পান করতে পারেন। আপনি যদি চান, আপনি একটি ক্বাথ তৈরি করেও এটি পান করতে পারেন। এজন্য ২ গ্লাস জলে কাটা আদা দিন। এরপর ১০ মিনিট এভাবে রেখে দিন। তারপর পান করুন। প্রতিদিন এটি করলে আপনি পার্থক্য দেখতে পাবেন।
প্রথমে আদা খোসা ছাড়িয়ে কুচিয়ে নিন এবং এক টেবিল চামচ আদা জলে ফুটিয়ে নিন। এরপর একটি পরিষ্কার কাপড় জলে ভিজিয়ে রাখুন। জল ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আক্রান্ত স্থানে লাগান। দিনে অন্তত একবার এটি করুন। এতে করে আপনি স্বস্তি পাবেন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment